Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সরকারি সল্প মূল্যে থাই বারোমাসি জাতের আমের কলম(গ্রাফটিং) পাওয়া যাচ্ছে ।
বিস্তারিত

 এই বারোমাসী আমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো:

★বছরে তিনবার ধরে এবং প্রতি গাছে আমের সংখ্যাও যথেষ্ট বেশি;
★প্রতিটি মৌসুমেরই প্রতিটি আমের ওজন ২০০-৩০০ গ্রামের মত।
★লম্বাটে জাতের এই আম পাকলে হলুদাভ সুষম রং হয়। পাকা আম দেখলে মনে হবে কেমিক্যালে পাকানো আম;
★আমে কোন আঁশ নেই;
★রোগবালাই নেই বললেই চলে। আম বাগানেও কোন রোগ বালাইয়ের দেখা মেলেনি;
★প্রতিটি মৌসুমের আমের স্বাদই অপূর্ব;
★আমের বর্তমান পাইকারী বাজার মূল্য ২০০-২৫০ টাকা কেজি
★স্বাভাবিক রুমের তাপমাত্রায় এই আম ২০-২৫ দিন পর্যন্ত অনায়াসে সংরক্ষণ করা যায়।

       এই আমের প্রবর্তক জীবননগরের সার ব্যবসায়ী নুর ইসলাম, যিনি আবুল কাসেমের খুব বন্ধু মানুষ। বেড়ানোর কাজে নুর ইসলাম ২০১০ সালে থাইল্যান্ড ভ্রমনের প্রক্কালে লুকিয়ে এমন একটা আম চারা সংগ্রহ করে এনে আবুল কাসেমের কাছে হস্তান্তর করেন। আবুল কাসেমের অনুরোধেই নুর ইসলাম এই চারাটি থাইল্যাণ্ড থেকে সংগ্রহ করে অানেন। এমন আমের খবর লোক মারফত আগেই জেনেছিলেন আবুল কাসেম। একটিমাত্র আম চারাকে আবুল কাশেম গোপনে পরম যত্ন ও মমতায় বড় করত: এটার গুণগত মান যাচাই করতে থাকেন। পরে এটার সার্বিক মান নিশ্চিত হওয়ার পরে সেটা সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শুরুতে তিনি এই আমের ব্যাপারে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করেন এজন্যে যেন কেউ এটার পেটেন্ট চুরি করতে না পারে। একটা লাভজনক অবস্থায় আসার পরে আবুল কাসেম এটার গুণপনা জনগনের জন্যে অবমুক্ত করেন। বর্তমানে আবুল কাসেমের ২০ বিঘা জমিতে এখন বারোমাসী জাতের এই আম রয়েছে। তার আম বাগানে কাঁচাপাকা আম ও মুকুলের সমারোহ এবং আমভাঙ্গার মহড়া দেখে মনে হচ্ছিল এটা যেন আমের ভরা মৌসুম। জীবননগর থেকে কালিগঞ্জের দিকে ২ কিমি অগ্রসর হলে রাস্তার ডান পাশে বিজিবি ক্যাম্পের পূর্বপাশে তেতুলিয়া নামক স্থানে “নাজমূল নার্সারী” নামে আবুল কাসেমের একটা বড় নার্সারীতে এখনো ২ লাখ উন্নতমানের থাই বারোমাসী আমের চারা মজুদ রয়েছে, বলে জানান আবুল কাসেম।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
21/07/2019
আর্কাইভ তারিখ
29/08/2019